প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ৬:৫৫ : অপরাহ্ণ
চতুর্থ দফার প্রথম দিন ২ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ক্যাম্প ছেড়েছে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ও বিকেলে পৃথকভাবে ৩৭টি বাসে এসব রোহিঙ্গাকে নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার পথে রওয়ানা দেন সংশ্লিষ্টরা।
রবি ও সোমবার (১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি) আরও প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচর নেয়ার প্রস্তুতির পর প্রথমদিন দুই হাজার জনকে নিয়ে গাড়িগুলো উখিয়ার ট্রানজিট পয়েন্ট অতিক্রম করে, এমনটি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্র মতে, চতুর্থ দফার প্রথম যাত্রা বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়। আর দ্বিতীয় যাত্রা হয় বেলা আড়াইটায়। প্রথমে ১৬টি বাসে তোলা হয় প্রায় সাড়ে আট শতাধিক রোহিঙ্গা। আর পরবর্তী ২১টি বাসে উঠে প্রায় সাড়ে ১১০০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। তাদের সঙ্গে দুটি খালিবাস, দুটি অ্যাম্বুলেন্স, পাঁচটি নিরাপত্তা প্রটোকল, বিশেষ সংস্থার তিনটি মাইক্রো চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। ভাসানচরগামী রোহিঙ্গাদের মালামাল পরিবহনে রয়েছে ১১টি কাভার্ডভ্যান।
আগের মতো উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে দিনে দুভাগে ভাগ করে বাসগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এসব যানবাহন আগে থকেই প্রস্তুত রাখা হয়। পুরো ৩৪ ক্যাম্প থেকেই রোহিঙ্গারা ট্রানজিট পয়েন্টে শনিবার বিকেল থেকে আসতে শুরু করে। অনেকে রোববার সকাল ও দুপুরে এসে পৌঁছান। সোমবার যারা ভাসানচরে পথে বের হবেন তারা রোববার সন্ধ্যা ও সোমবার সকাল-দুপুরে ট্রানজিট পয়েন্টে আসবে। দুদিনের যাত্রার জন্য প্রায় ৭২টা বাস, একাধিক কাভার্ডভ্যান ও প্রয়োজনীয় অন্য যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচর যাত্রা নিয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাসানচরের পথে চট্টগ্রাম থেকে চূড়ান্তভাবে জাহাজে না ওঠা পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের যাত্রা নিয়ে সঠিক কথা বলা মুশকিল। সময় মতো গণমাধ্যমকে সবকিছু জানিয়ে দেয়া হবে। দেশবাসী ও সারা বিশ্বকে না জানিয়ে রোহিঙ্গা স্থানান্তর হচ্ছে না, অতীতের অভিজ্ঞতা এমনটি বলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানিয়েছে, এবারেও স্বেচ্ছায় যেতে রাজি হওয়া প্রায় চার থেকে সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ রয়েছে।