প্রকাশ: ৯ অক্টোবর, ২০১৯ ১১:০৭ : অপরাহ্ণ
যৌনকর্মী হিসেবে ভাড়া এনে টাকা নিয়ে ঝগড়া হওয়ায় পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। নগরীর কলসি দীঘির পাড় এলাকার এক বাড়ি থেকে গত সোমবার এক নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ভবন মালিকের ছেলেসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর তাদের মধ্যে একজন আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সেটাই জানিয়েছে। খবর আজাদী
জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেছেন, ‘যৌনকর্মী হিসেবে ওই নারীকে ভাড়া করেছিল তারা। টাকা নিয়ে গণ্ডগোল হওয়ায় তারা তাকে হত্যা করে।’
তবে নিহত ওই নারীর নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর বলে পুলিশের ধারণা। বিডিনিউজ
গত সোমবার সকালে ‘হাজী নুরুল হক সওদাগরের বাড়ি’ নামের ভবনটির ছাদে ওঠার সিঁড়ি থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তিনজন হলো ওই ভবনের মালিক আলী আকবরের ছেলে ফারুক (৩৬) এবং তার দুই বন্ধু রাশেদ (৩৬) ও আলমগীর (৩৫)। মঙ্গল ও বুধবার নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ফারুক ওই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকে। তার বাবা-মা থাকেন নিচতলার ফ্ল্যাটে।
ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘রবিবার রাতে ফারুকের স্ত্রী গিয়েছিলেন বাবার বাড়িতে। ফারুক বাসায় একাই ছিলেন। ফারুকের বন্ধু রাশেদ রাতে ওই নারীকে নিয়ে ফারুকের বাসায় যায়। পরে সেখানে আলমগীরও যায়। তিনজনের সাথে সহবাসের বিনিময়ে যে অঙ্কের টাকা ওই নারী দাবি করে তা নিয়ে ঝগড়া হয় বলে তারা জানিয়েছে। ঝগড়ার জেরে ওই নারীকে তারা শ্বাসরোধে হত্যা করে।‘
ওসি বলেন, ‘হত্যার পর তারা ওই নারীর লাশ তিন তলা থেকে ছাদে যাওয়ার সিঁড়িতে ফেলে রাখে। ফারুকের ঘরে তল্লাশি চালানোর সময় একটি বালিশে আমরা রক্তের দাগ দেখতে পাই। হয়ত শ্বাসরোধের ফলে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছিল। এতে সন্দেহ হওয়ায় ফারুককে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ওই নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।‘
বুধবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে হাজির করা হলে ফারুক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বলে জানান ওসি।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে। গ্রেপ্তার বাকি দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মামলায় দুই দিন করে রিমাণ্ডে পাঠিয়েছে আদালত।