প্রকাশ: ২০১৮-১০-১৪ ১৬:৪৫:৪৪ || আপডেট: ২০১৮-১০-১৪ ১৭:২৫:৪৯
ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের পৃথক দু’টি স্থানে পাহাড় ধস ও দেয়াল ধসে চার জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো কয়েকজন।
শনিবার রাত ১টার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানার রহমান নগর এলাকায় দেয়াল ধসে একজন নিহত হন। অপরদিকে রাত আড়াইটার দিকে নগরের ফিরোজশাহ কলোনির ১ নম্বর ঝিল এলাকায় পাহাড় ধসে তিনজন নিহত হন।।
নিহতরা হলেন ফিরোজশাহ কলোনীর বরিশাল ঘোনায় বাসিন্দা একই পরিবারের মা নূর জাহান (৪৫), তার আড়াই বছরের মেয়ে ফয়জুন্নেসা ও বিবি জোহরা (৭০)। এ ছাড়া নগরের পাঁচলাইশ থানার রহমান নগর এলাকায় পৃথক দেয়াল ধসের ঘটনায় নূরুল আলম নান্টু (৩০) নামে একজন নিহত হন। তিনি রহমান নগরের বাসিন্দা লালমিয়ার ছেলে।
রোববার সকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ের পাদদেশে দুটি বাড়ি ধসে পড়ে। এতে নূর জাহান, তার মেয়ে নূর বানু এবং নূর জাহানের মা জহুরা খাতুন মারা যান।
#Bangladesh । At least four people have been killed in landslides in Chattogram triggered by heavy rain in the region in the wake of Cyclone Titli. #চট্টগ্রাম #পাহাড়ধস #বাংলাদেশ #Chittagong #Bangladesh #Chattogram pic.twitter.com/21SWjbRHPj
— Mosrur Zunaid (@MosrurZunaid) October 14, 2018
পাঁচলাইশের দুর্ঘটনার বিষয়ে বায়েজিদ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক জানান, টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ের মাটি নরম হওয়ায় বড় একটি গাছ শিকড় ভেঙে নিচে পড়ে যায়। এতে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা কয়েকটি কাঁচা-পাকা বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধসে পড়ে দেয়াল।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে সেখানে নেওয়ার পর নুরে আলম নান্টু মারা যান বলে জানান চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া।
এনামুল হক জানান, ঘটনাস্থলে বাকিদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
ফিরোজশাহ কলোনিতে পাহাড় ধসের বিষয়ে ঘটনাস্থলে থাকা আকবরশাহ থানার এএসআই লুৎফুর রহমান বলেন, ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের ঘটনায় তিন নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রেজাউল কবির বলেছিলেন, পাহাড় ধসে তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।